বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান আকন্দকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিক একটি চাঁদার দাবিতে ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
সূত্র জানায়, বগুড়া শহরের স্টেশন সড়কে রেলওয়ের জমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী মার্কেট স্থাপন করা হয়। ঠিকাদার ছিলেন, আবদুল মান্নান আকন্দ। গাড়ি পার্কিং-এর জমিতে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুন্নবী রাসেল রেলওয়ে বিভাগে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রেলওয়ে বিভাগ মার্কেটের অবৈধ অংশটুকুতে উচ্ছেদ অভিযান চালায়।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সেখানে বগুড়া রেলওয়ের বুকিং সহকারি রায়হান কবির ও অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে অভিযোগকারি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুন্নবী রাসেলের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই হামলার ঘটনায় মার্কেট পরিচালনা কমিটির পরিচালক ও আহত রায়হান কবিরের বাবা হায়দার আলী বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি বগুড়ার বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ঠিকাদার এবং পরিবহণ ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান আকন্দ।
এদিকে বুধবার সকালে আবদুল মান্নান বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিকের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক শুনানী শেষে তার আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আবদুল মান্নান আকন্দ আসন্ন বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. মকবুল হোসেন। মান্নান আকন্দ বগুড়া শহর আ.লীগের সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।